যশোরে টানা বর্ষণের কারণে গরীব শাহ রোডের একটি পুরোনো কালভার্ট ভেঙে রাস্তা ধসে পড়ার মুখে পড়েছে। ১৯৬৮ সালে নির্মিত এই কালভার্টটির নিচে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেওয়ায় মাজারের সামনের রাস্তার একাংশ ঢালু হয়ে গেছে এবং সৃষ্টি হয়েছে বড় ধরনের ধসের আশঙ্কা। ঝুঁকি এড়াতে পৌরসভা রাস্তা বন্ধ করে দিলে শহরের একাধিক এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য, বকুলতলার গরীব শাহ মাজারসংলগ্ন কালভার্টটির নিচে গত কয়েকদিন ধরেই ফাটল দেখা যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, রাস্তাটি একদিকে দেবে গেছে এবং কালভার্টের নিচে পানি নিষ্কাশনের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের ধস নামার শঙ্কা তৈরি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে সকালে যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে, রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এসপি অফিস মোড়, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, প্যারিস রোড, পৌরসভা রোড ও জজকোর্ট মোড়, সিভিলকোর্ট মোড়, মুজিবসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে আজ যশোরে দুটি রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকায় যানজট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসান বলেন, পুরোনো এই কালভার্টটি মাঝখান থেকে ভেঙে গেছে, যা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছিল না। টানা বৃষ্টির কারণে আশপাশের মাটি সরে গিয়ে বিষয়টি এখন স্পষ্ট হয়েছে। যেহেতু এটি সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন, তাই তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়ে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগকে সহায়তার অনুরোধও জানানো হয়েছে।
সড়ক ও জনপদ (সওজ) যশোরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহাবুব হায়দার খান জানান, কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি সেখানে পৌরসভার একটি পাইপও ফেটে গেছে, ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে। ওই কালভার্ট দিয়েই শহরের একাংশের পানি নিষ্কাশন হয়, তাই সেটি পুরোপুরি বন্ধ করাও সম্ভব নয়। আপাতত কালভার্টের এক পাশে পাইপ স্থাপন করে তার ওপর মাটি ফেলে রাস্তা সচল করার কাজ চলছে। পৌরসভাও এ কাজে আমাদের সহযোগিতা করছে।