যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন গাছসহ জমি জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সলেমান দফাদার ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি সলেমান দফাদারের নেতৃত্বে মফিজ বিএনপি নেতা শাহিনুর মোড়ল ওই জমিতে গিয়ে তিনটি গাছ কেটে ফেলে। ঘটনাটি ফরিদপুর গ্রামের হিন্দু পাড়ায় ঘটে।

এ সময় থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব মহাসিন আলীসহ স্থানীয়রা বাধা দিলে তারা গাছগুলো নিয়ে যেতে পারেনি। গাছগুলো এখনো ওই জমিতে পড়ে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ৫ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রভাস সরকার পরিবারের ভোগদখলে রয়েছে। তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের গুঞ্জন ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সম্ভাবনার পর থেকেই সলেমান গং ওই জমি দখলের চেষ্টায় নেমেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীরা সংখ্যালঘু হওয়ায় প্রাণভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

প্রভাস সরকার বলেন, সংশ্লিষ্ট জমির কোনো বৈধ কাগজপত্র বা দলিল সলেমান দফাদারের নামে নেই। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে সলেমান দফাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা যে অভিযোগ করছে সেটি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। ওই জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। এতদিন তারা দখল করে রেখেছিল। জমি মাপার পরে আমরা জানতে পারি আমাদের জমি তাদের ভিতরে চলে গেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।