রোববার দুপুরে যশোরের এমএম কলেজে বহিরাগতদের হামলায় দুই শিক্ষার্থী আগত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, রুপদিয়া উত্তরপাড়ার ইউনুস আলীর ছেলে ইমরান আল মাসুদ বুখারী ও কাজীপাড়া মানিকতলা এলাকার বাসিন্দা ও রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার ভেল্লাবাড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার খন্দকারের ছেলে সাজ্জাদ খন্দকার। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলার পর পুলিশ রোববার সন্ধায় তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করেছে।
কোতোয়ালি থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, দুপুরে আটকৃক দুই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে এমএম কলেজে প্রবেশ করেন। মটর সাইকেল নিয়ে উল্টাপাল্টা চালানোর কারণে কলেজের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদের বাইসাকেলে আঘাত করে। এসময় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় অন্য শিক্ষার্থীরা এসে মিমাংশার চেষ্টা করেন। এরমাঝে আটক ইমরান তার কাছে থাকা বার্মিজ চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় । ছুরিকাঘাতে আব্দুস সামাদ ও নাইমুল ইসলাম নোমান জখম হন। এসময় ছাকু দেখিয়ে অন্যদের হত্যার হুমকি দেয়। পরে অন্যশিক্ষার্থীরা একট্টা হয়ে ইমরান ও সাজ্জাদকে আটক করে। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে ওই দুইজনকে হেফাজতে নেয়। তাদের কাছে থাকা বার্মিজ চাকু ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পরে আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় এমএম কলেজের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক তাদেরেক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।